ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম ::
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি  রৌমারী উপজেলার আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন   আজ দুপুর ১টার মধ্যে ১২ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা কুরবানির বিধান ও কি পরিমান ঋণ থাকলেও তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন কচাকাটায় শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রৌমারীতে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রৌমারীতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে বিএসএফ

কুড়িগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ মালিকের ১৭ ঘর, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি

Oplus_0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামে পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় বিদ্যুতের সট সার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে ৯ জন মালিকের ব্যবসায়ীক মালামালসহ ১৭টি ঘর। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের পুরাতন পোষ্টাফিস পাড়া এলাকায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে তা মুহুর্তেই পাশে লাগোয়া সোহেল মিয়া, মোছা: ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কসমেটিকসসহ ব্যবসায়ীক মালপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমিত চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে একটু বাহিরে গেছিলাম। পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটরটি চলছে না। তা আমি সুইস বন্ধ করে দেই। একটু পর সেচ পাম্পের ওখানে ধোঁয়া বাহির হতে দেখি পরে তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব রুমে। পরে আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও ঘরে থাকা আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৬টি কোম্পানির সাথে ডিলার সিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বাহির হয়ে আসছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম।

কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, আমার তিনটি রুমে থাকা দুইটি এলএডি টেলিভিশন, ২টি বক্সখাট, ফ্রিজ, ৭টি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব কিছু পুড়ে শেষ। এছাড়া শুধু পড়নে থাকা পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ধরনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্র গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি আমরা।

৯ জন মালিকের ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষত্রি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ৯ ব্যক্তির ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এই পরিবারগুলোর মধ্যে এক পরিবারে এসএসসি পরিক্ষার্থী তাদের মেয়ের বই, খাতা ও জামাকাপড় পুড়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছি আমরা। কেন না আগামীকাল তার পরিক্ষা। এছাড়াও অন্যন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি ভাবে সহায়তা করতে যা করনীয় তা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত 

কুড়িগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ৯ মালিকের ১৭ ঘর, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামে পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় বিদ্যুতের সট সার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে ৯ জন মালিকের ব্যবসায়ীক মালামালসহ ১৭টি ঘর। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের পুরাতন পোষ্টাফিস পাড়া এলাকায় শাহাজাহান মিয়ার ঘরে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে তা মুহুর্তেই পাশে লাগোয়া সোহেল মিয়া, মোছা: ফাতেমা বেগম, বদিউল্লাহ, কামাল মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কহিনুর বেগম, রাবেয়া বেগম ও নুরজাহানের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

আগুনে পুড়ে গেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কসমেটিকসসহ ব্যবসায়ীক মালপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমিত চক্রবর্তী বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে একটু বাহিরে গেছিলাম। পরে এসে দেখি সেচ পাম্পের মোটরটি চলছে না। তা আমি সুইস বন্ধ করে দেই। একটু পর সেচ পাম্পের ওখানে ধোঁয়া বাহির হতে দেখি পরে তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব রুমে। পরে আমার তিনটি রুমে থাকা বিভিন্ন মালামাল, নগদ টাকা, ফ্রিজ ও ঘরে থাকা আসবাপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৬টি কোম্পানির সাথে ডিলার সিপের ব্যবসা ছিল। সব মালামাল পুড়ে শেষ। শুধু নিজের জীবন নিয়ে আমরা বাহির হয়ে আসছি। এখন আমরা পথে বসে গেলাম।

কামাল মিয়া নামের একজন বলেন, আমার তিনটি রুমে থাকা দুইটি এলএডি টেলিভিশন, ২টি বক্সখাট, ফ্রিজ, ৭টি ফ্যানসহ রুমে থাকা সব কিছু পুড়ে শেষ। এছাড়া শুধু পড়নে থাকা পোশাক ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ধরনা করা হচ্ছে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়া মাত্র গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি আমরা।

৯ জন মালিকের ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষত্রি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) (ইউএনও) মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ৯ ব্যক্তির ১৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এই পরিবারগুলোর মধ্যে এক পরিবারে এসএসসি পরিক্ষার্থী তাদের মেয়ের বই, খাতা ও জামাকাপড় পুড়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছি আমরা। কেন না আগামীকাল তার পরিক্ষা। এছাড়াও অন্যন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি ভাবে সহায়তা করতে যা করনীয় তা করা হচ্ছে।