
রাজিবপুরে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজীবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই মন্ডলপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোদালকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তঁার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। গত ইউপি নির্বাচনে তঁার সঙ্গে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তারাই আজ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন এবং পদত্যাগ চাচ্ছেন। গত ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। সেই নির্বাচনে জনগণ আমাকে স্বতঃসফূর্তভাবে ভোট দান করেছেন ও তাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন, সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, নদী ভাঙন রোধ করেছেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি ভিজিডি কার্ডের টাকা খেয়েছেন। গত অর্থবছরে ভিজিডির কার্ড যারা পেয়েছেন, তঁাদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি। তঁার নাকি ঢাকা, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় বাড়ি আছে। তিনি তাদের (ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি) উদ্দেশ্যে বলতে চান, সেই বাড়িগুলো কোথায় এবং বাড়িগুলো দিকনির্দেশনা দেবেন তারা। তঁার বাড়ি শুধু কোদালকাটি ব্যতিত আর কোনো জায়গায় বাড়ি নেই। এগুলো হলো তঁার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তারা তঁাকে হেয় করার জন্য জনগণের কাছে মানসম্মান খবর্ব করার জন্য মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে তাঁরা) তঁার প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ শুরু করেছে। তঁাকে রাস্তাঘাতে অপমান করেন। পরিষদে যেতে দেন না। পরিষদে তঁাকে আক্রমনও করা হয়ে ছিল। পরিষদে ভাংচুরের চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, তারা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে তাদের মনের প্রতিহিংসার যে আগুন, তারই হিসাবে তঁার চেয়ারম্যান পদের পদত্যাগ চাচ্ছে। তিনি জনগণে ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন করেছেন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন।
সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যদি আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে রাখেন, তাহলে তারা পদত্যাগ কেন চায়? সামনে নির্বাচন আসুক, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই তো এলাকার চেয়ারম্যান হবে। আমাকে কেন পদত্যাগ করতে হবে।