ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম ::
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি  রৌমারী উপজেলার আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন   আজ দুপুর ১টার মধ্যে ১২ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা কুরবানির বিধান ও কি পরিমান ঋণ থাকলেও তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন কচাকাটায় শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রৌমারীতে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রৌমারীতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে বিএসএফ

গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই

  • News DESK
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 142

দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা বলেন, দেশের বর্তমান যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চলছে, তা চলমান রাখতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি সমৃদ্ধি ও প্রগতির পক্ষে নাগরিক সম্মিলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে পরে এসেও স্বাধীনতার আদর্শ সমুন্নত রাখার বিষয়টি নিয়ে যে কথা বলতে হয় সেটি অনেক দুঃখজনক। কারণ দেশ স্বাধীন হলেও এই দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। যারা স্বাধীনতার বিরোধী তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং তার পরবর্তী সময়ে এই বিরোধীপক্ষ যেন আর কোনোভাবেই রাজনীতি করার সুযোগ না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, এই দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিদেশি শক্তিও এ ব্যাপারে সবসময় তৎপর থাকে। একসময় দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচলন ছিল। এই সরকারের কাজ ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বিজয়ী দলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। কিন্তু দেখা গেছে, সেটি না করে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিজেরাই বছরের পর বছর ক্ষমতায় থেকেছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে যেন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে।

গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই

সভায় শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, একসময় এ দেশের তরুণ প্রজন্ম আমাদের কাছে প্রশ্ন করত যে, এই দেশে রাজকাররা কীভাবে মন্ত্রী হয়। আমরা তখন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না। আমার মনে হতো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এই দেশে রাজাকারের বিচার সম্ভব। একসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজাকারের বিচার করে। তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলে গণজাগরণ। আসলেই এভাবেই সবকিছুর পরিবর্তন হয়। আমরা সবাই বলি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসে। কিন্ত আমাদের সবার একটাই দাবি হওয়া উচিত যে, ক্ষমতাসীন দলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে এবং বিরোধীদলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আমরা এভাবেই দেখতে চাই।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশ আজ অর্থনীতিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সমৃদ্ধ। এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আমাদের দেশের শিক্ষিত সসমাজ যেন সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। দেশের তরুণরা এখনো বিশ্বাস করে যে, তারা এই দেশে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এই তরুণসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের মেধা যেন সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয় এটা ভবিষ্যৎ ক্ষমতাসীনদের নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মিলনের বিষয়ে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তানভীর বলেন, বিশেষত রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থায়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা, রাজনীতির নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান এবং দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করা এই নাগরিক সম্মিলনের উদ্দেশ্য।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শম্পা রেজা, আজিজুল হাকিমসহ অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকরা।

ট্যাগস :

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত 

গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই

আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা বলেন, দেশের বর্তমান যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চলছে, তা চলমান রাখতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি সমৃদ্ধি ও প্রগতির পক্ষে নাগরিক সম্মিলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে পরে এসেও স্বাধীনতার আদর্শ সমুন্নত রাখার বিষয়টি নিয়ে যে কথা বলতে হয় সেটি অনেক দুঃখজনক। কারণ দেশ স্বাধীন হলেও এই দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। যারা স্বাধীনতার বিরোধী তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং তার পরবর্তী সময়ে এই বিরোধীপক্ষ যেন আর কোনোভাবেই রাজনীতি করার সুযোগ না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, এই দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিদেশি শক্তিও এ ব্যাপারে সবসময় তৎপর থাকে। একসময় দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচলন ছিল। এই সরকারের কাজ ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বিজয়ী দলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। কিন্তু দেখা গেছে, সেটি না করে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিজেরাই বছরের পর বছর ক্ষমতায় থেকেছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে যেন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে।

গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই

সভায় শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, একসময় এ দেশের তরুণ প্রজন্ম আমাদের কাছে প্রশ্ন করত যে, এই দেশে রাজকাররা কীভাবে মন্ত্রী হয়। আমরা তখন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না। আমার মনে হতো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এই দেশে রাজাকারের বিচার সম্ভব। একসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজাকারের বিচার করে। তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলে গণজাগরণ। আসলেই এভাবেই সবকিছুর পরিবর্তন হয়। আমরা সবাই বলি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসে। কিন্ত আমাদের সবার একটাই দাবি হওয়া উচিত যে, ক্ষমতাসীন দলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে এবং বিরোধীদলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আমরা এভাবেই দেখতে চাই।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশ আজ অর্থনীতিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সমৃদ্ধ। এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আমাদের দেশের শিক্ষিত সসমাজ যেন সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। দেশের তরুণরা এখনো বিশ্বাস করে যে, তারা এই দেশে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এই তরুণসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের মেধা যেন সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয় এটা ভবিষ্যৎ ক্ষমতাসীনদের নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মিলনের বিষয়ে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তানভীর বলেন, বিশেষত রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থায়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা, রাজনীতির নামে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান এবং দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করা এই নাগরিক সম্মিলনের উদ্দেশ্য।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শম্পা রেজা, আজিজুল হাকিমসহ অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকরা।