ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম ::
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি  রৌমারী উপজেলার আহব্বায়ক কমিটির অনুমোদন   আজ দুপুর ১টার মধ্যে ১২ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা কুরবানির বিধান ও কি পরিমান ঋণ থাকলেও তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন কচাকাটায় শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রৌমারীতে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রৌমারীতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে বিএসএফ

 আলুর দাম অযৌক্তিক, এক সপ্তাহের মধ্যে কমবে : ভোক্তা ডিজি

  • ONLINE DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 102

 কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

মঙ্গলবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়ায় আলু ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। যার প্রভাবে আলুর সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের তুলনায় আলুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরবরাহ সংকটের অজুহাতকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমার কথাও বলেন।

অন্যদিকে হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী ও কৃষক। ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। মাত্র এক শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। বাকি ৪০ শতাংশ বীজ আলু বলে দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারে শুধু ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো হিমাগারে অস্বাভাবিক পরিমাণের আলু মজুত থাকলে সে তথ্য আমাদের দিন। এটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরাও বিষয়টি দেখবো।

তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি মাঠ পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ও তথ্য দিয়েছে অন্যরাও যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার মাঠ পর্যায়ে ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ব্যবসায়ীরা ১৮-২০ টাকা খরচের মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলুতে খরচ ৫ টাকা এছাড়া পরিবহন ও অন্যান্য খরচ দিয়ে সর্বোচ্চ আলুর দাম ২৭ থেকে ২৮ টাকা হলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফা থাকে। সেই আলু রাজধানীর পাইকারি বাজারে এসে অন্যান্য খরচ দিয়ে ৩১ থেকে ৩২ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা ধরে ভোক্তা পর্যায়ে এসে সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। তবে এখন দাম যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি আলুর দামে একটি ১০-১২ টাকার গ্যাপ রয়ে গেছে। এটা কমানোর জন্য আমরা আগামীকাল থেকে বাজার মনিটরিং কঠোরভাবে শুরু করবো। তবে আমরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুধু আমদানি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় আইনে। আলুর মতো কৃষি পণ্যের নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সভায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হিমাগার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রৌমারীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত 

 আলুর দাম অযৌক্তিক, এক সপ্তাহের মধ্যে কমবে : ভোক্তা ডিজি

আপডেট সময় : ১১:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

 কৃষকরা মাঠ পর্যায়ে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

মঙ্গলবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়ায় আলু ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। যার প্রভাবে আলুর সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের তুলনায় আলুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরবরাহ সংকটের অজুহাতকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমার কথাও বলেন।

অন্যদিকে হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী ও কৃষক। ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। মাত্র এক শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। বাকি ৪০ শতাংশ বীজ আলু বলে দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারে শুধু ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো হিমাগারে অস্বাভাবিক পরিমাণের আলু মজুত থাকলে সে তথ্য আমাদের দিন। এটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরাও বিষয়টি দেখবো।

তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি মাঠ পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ও তথ্য দিয়েছে অন্যরাও যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার মাঠ পর্যায়ে ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ব্যবসায়ীরা ১৮-২০ টাকা খরচের মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলুতে খরচ ৫ টাকা এছাড়া পরিবহন ও অন্যান্য খরচ দিয়ে সর্বোচ্চ আলুর দাম ২৭ থেকে ২৮ টাকা হলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফা থাকে। সেই আলু রাজধানীর পাইকারি বাজারে এসে অন্যান্য খরচ দিয়ে ৩১ থেকে ৩২ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা ধরে ভোক্তা পর্যায়ে এসে সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। তবে এখন দাম যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি আলুর দামে একটি ১০-১২ টাকার গ্যাপ রয়ে গেছে। এটা কমানোর জন্য আমরা আগামীকাল থেকে বাজার মনিটরিং কঠোরভাবে শুরু করবো। তবে আমরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুধু আমদানি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় আইনে। আলুর মতো কৃষি পণ্যের নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সভায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হিমাগার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।